আশাবরী : হুমায়ূন আহমেদ
প্রিন্ট / প্রকাশনী: সময়
- Estimated Delivery : Up to 3 business days
- Free Shipping : On all orders over 1500 BDT
আশাবরী গল্পটি মূলত একটি মধ্যবিত্ত ফ্যামিলিকে কেন্দ্র করে লেখা যেখানে জড়িয়ে আছে একটি পরিবারের আশাহত হওয়ার গল্প। আশাবরী কহিনীটি লেখক হুমায়ুন আহম্মেদ রেনুর জবানবন্দীতে লিখেছেন। পরিবারের কর্তা জয়নাল সাহেব ছিলেন ফেরীওয়ালা ব্যবসায়ী তাই তাকে দেশের বিভিন্ন জায়গার ঘুড়তে হয় তাই মাঝে মাঝে তিনি নিরুদ্ধেশ হয়ে যান আবার ফিরে আসেন।
রণ্জু হলো পরিবারের একমাত্র বড়ো ছেলে…টিউশনি করায় ৪টা। বাবার অবর্তমানে সংসারের হাল ধরেন তিনি। রণ্জু যে কোনো বিষয়েই ফ্যানি ম্যান বা মজা করতো তাই তার বাবা ফ্যানি ম্যান বলে ডাকতেন। দুই বোন মীরা আর রেনু, ভাই আবার আদর করে রেনুকে খুকী ডাকে। তারা একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন, বাড়ির মালিক সুলায়মান সাহেব রণ্জুকে অনেক পছন্দ করতেন। নিম্নবিত্ত ফ্যামিলি থাকায় বাড়ি ভাড়া দিতে অসুবিধা হতো তারপরেও কিছু বলতেন না। রণ্জুদের বাসার পাশেই বড় ফ্ল্যাটে থাকতেন ব্যারিস্টার মুশফেকুর রহমান। উনার সাথেও রণ্জুর অনেক মিল ছিল…..তার মেয়ে দুলু তাদের বাসায় আসা যাওয়া করতো আবার রেনু যেতো ওদের বাসায়।দুলু অবশ্য মনে মনে রণ্জুকে পছন্দ করতো। আবার রণ্জুর পরিচিত আরেকটি মেয়ে ছিলো আভা নামে।
সুলায়মান সাহেব বাড়িতে থাকলে ছেলে-মেয়েদের সাথে তার মায়ের কাহিনী নিয়ে আলোচনা করতেন যেমন-বিবাহের বিষয়। একদিন সুলায়মান সাহেব বরিশালে যান সুপারি কিনে ব্যবসা করবেন বলে…..আর ফিরে আসেননি….রণ্জুর মা অনেক চিন্তিত হয়ে পরেন, তারপর রণ্জু বিভিন্ন জায়গার খোঁজ-খবর নেন কিন্তু পাননি। তার মার বিশ্বাস ছিলো যে রণ্জুর বাবা একদিন ফিরে আসবে।
সংসারের হাল ধরতে ধরতে একদিন রণ্জুও অসুস্থ্য হয়ে পড়লো। হাসপাতালে ভর্তির ১৯ দিনের মাথায় রণ্জু মারা গেল। এইযে মধ্যবিত্ত কাহিনী কত সংগ্রাম করে একটি পরিবার নিঃশ্বেষ হয়ে যাওয়ার গল্প ফুঠে উঠেছে এখানে।
Reviews
There are no reviews yet.